বিখ্যাত মানুষেরা বিখ্যাত কিছু কাজ করেছেন বলেই তারা সবার কাছে এত বিখ্যাত! সেটা আমাদের সবারই জানা। কিন্তু এমন কিছু বিখ্যাত মানুষ আছেন যারা আবিষ্কার করেছেন একদম অন্যরকম কিছু জিনিস। এমন কিছু জিনিস যেগুলো আমাদের বর্তমানের দৈনন্দিন জীবনে খুব দরকারী হলেও আদতে সেগুলো তাদের আবিষ্কার করার কোনরকম কারণ ছিলনা। শখে কিংবা হঠাৎ ঝোঁকের বশে আবিষ্কার করে ফেলা এমন কিছু দরকারী আবিষ্কার আর তাদের পেছনে থাকা বিখ্যাত মানুষদেরকে নিয়েই আজকের এই আয়োজন।
১. মস্তিষ্কের ভেতরকার চাপ কমানো যন্ত্র
চার্লি এন্ড দ্যা চকোলেট ফ্যাক্টরির কথা মনে আছে তো? কিংবা দ্যা মাটিল্ডা? এমন অনেকগুলো ইতিহাসখ্যাত বইয়ের লেখক রোনাল্ড ডাহল কেবল সাহিত্যেই নন, অবদান রেখেছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানেও! নিজের ছেলে থিওর মানসিক আঘাত পাওয়ার পর খুলির ভেতরের অতিরিক্ত চাপ ঠেকাতে ডাক্তারেরা যখন তাদের হাতে থাকা যন্ত্রপাতি নিয়ে কি করবেন বুঝতে পারছিলেননা তখনই কিছু একটা করার ইচ্ছে হয় রোনাল্ডের। আরো বেশ কিছু মানুষকে সাথে নিয়ে ডাক্তার না হওয়া সত্ত্বেও তিনি বানিয়ে ফেলেন ওয়াদে- ডাহল- টিল- শান্ট যন্ত্রটি। পৃথিবীর সবার জন্যে বিনামূল্যে নিজের এই যৌথ আবিষ্কারকে উৎসর্গ করেন লেখক। এখনো দৈনন্দিন জীবনে প্রায়ই ব্যবহার করতে হয় আমাদেরকে এটি।
২. স্ক্র্যাপবুক
মার্ক টোয়েনকে কে না চেনে? কিন্তু সেটা একমাত্র লেখক হিসেবেই। আপনি কি জানেন যে লেখালেখির পাশাপাশি আরেকটি শখ ছিল টোয়েনের। স্মৃতি জমানো। নিজের লেখা, ছবিসহ আরো অনেক জিনিস তিনি আঠা দিয়ে লাগিয়ে রাখতেন সাদা খাতায়। কিন্তু এতে অনেক বেশি সময় লাগতো। আর তাই একদিন বুদ্ধি করে পাতায় আঠা লাগানো বইয়ের খোঁজ করেন তিনি এবং বানিয়ে ফেলেন এমনই এক বই। যার ভেতরে আঠা লাগানোই রয়েছে। দরকার কেবল হাত দিয়ে দরকারি ছবি বা কাগজটি লাগিয়ে নেওয়ার। ব্যস! তৈরি হয়ে গেল বর্তমান সময়ের খুব দরকারী একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস- স্ক্র্যাপবুক!
৩. রবারের বেলুন
মাইকেল ফ্যারাডের কথা বিজ্ঞানের জগতে সবসময়েই শুনতে পাওয়া যায়। বৈজ্ঞানিক কিছু ব্যাপারে ফ্যারাডের নাম ব্যবহার করা হয়। বিজ্ঞানের ছোটখাটো অনেকগুলো পদের নাম তার দেওয়া। কিন্তু এসব কিছু জানলেও এটা কি আপনি জানেন যে মেলায় গেলে যে জিনিসটা সবসময়েই আপনার চোখে বেশি পড়ে, বাচ্চারা সবসময়েই যে জিনিসটি নিয়ে একটু বেশিই বায়না করে, সেই রবারের বেলুনের আবিষ্কারকও তিনিই ছিলেন? ১৮২৪ সালে রাবারের দুটো পাতলা পর্দাকে একত্র করেন মাইকেল ফ্যারাডে আর তাদের ভেতরে খানিকটা চালের গুড়ো মাখিয়ে হাইড্রোজেন গ্যাস ভরে দেন তিনি। ব্যস! হয়ে গেল বর্তমান সময়ের অতিচেনা বেলুনের আবিষ্কার!


কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন